রাজনীতি | তারিখঃ এপ্রিল ৪, ২০২১ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 687 বার

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা মন্তব্য করেছেন, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারী কেলেঙ্কারির সময় ধরা পড়ার পর, তাকে ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ আরও একটা হেফাজতি আতাতের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে নিজ ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফেইসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাদের মির্জা জানান, হঠাৎ করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত। এই দুঃচিন্তাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে হেফাজতে ইসলাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে যে তান্ডব চালিয়ে, তার রেশ না কাটতেই হেফাজতের মামুনুল হক নারী কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়েছে।
মির্জা কাদের জানান, ওই কেলেঙ্কারির ঘটনায় মামুনুলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে, তাকে ছেড়ে দেয়াকে আওয়ামী লীগ আর হেফাজতের আতাতই বলা যায়।
রোববার দুপুরে কাদের মির্জা তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে আরেকটি স্ট্যাটাসে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আগামীকাল (সোমবার) থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভার গরিব অসহায় মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আগামী মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) থেকে ৫ হাজার গরিব মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
এদিকে, বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন পরবর্তী ১০ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের সিদ্দিকিয়া নূরানি মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মাওলানা ইউনুস (৩৭) এবং ইমরান হোসেন রাজু (২২) নামের দুইজনকে পুলিশে দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
পরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা জেলা শহর মাইজদীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা কাদের মির্জার কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। সেই থেকে হেফাজতে ইসলামের সাথে কাদের মির্জার ব্যক্তিগতভাবে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তবে এক সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা হেফাজতের নেতাদের সাথে কাদের মির্জার ভালো সখ্যতা ছিল বলে জানা গেছে।
- সংবাদ সংলাপ/এমএস/স

Leave a Reply