দেশ সংলাপ, শীর্ষ সংলাপ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1011 বার

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী :
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাদের মির্জা।
রোববার রাতে ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা আসার পর কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এ প্রতিবাদ জানান।
ওই লাইভে তিনি অভিযোগ করেন, ইউএনও তার (কাদের মির্জা) নির্ধারিত শোকসভা, প্রতিবাদ সভা ও মিলাদ-মাহফিল বানচালের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি তার নেতাকর্মীদের যার যার অবস্থানে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
এদিকে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীরের স্বাক্ষরিত এই আদেশ দেয়া হয়েছে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
ইউএনও জানান, সোমবার একই স্থানে কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও বসুরহাটের পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমাবেশ ডাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আদেশ জারি করতে সকাল থেকে পৌর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক টহল দিতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রুপালী চত্তরে কাদের মির্জার সমর্থকরা জড়ো হতে থাকলে পুলিশ মাইকে ঘোষণা দিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। দুপুর পর্যন্ত পৌর এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা গেছে।
গত শুক্রবার কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের নোয়াখালী প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে কারের মির্জার আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সোমবার দুপুরে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। একই স্থানে দোয়া মাহফিলের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক মুজাক্কির। এই ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষই মুজাক্কিরকে নিজেদের লোক বলে দাবি করে আসছেন। এতে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে কোম্পানীগঞ্জ।
- সংবাদ সংলাপ/এমএস/দু

Leave a Reply