আন্তর্জাতিক, এক্সক্লুসিভ | তারিখঃ মার্চ ২৯, ২০২১ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 770 বার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারত-বাংলাদেশে যখন চলছে হোলি উৎসব, তখন মিয়ানমার সামরিক জান্তার হাতে অকালে ঝরছে তাজা প্রাণ। রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে মিয়ানমারের রাজপথ। গত দুইদিনে আরও ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫২ জনে।
মান্দালয় অঞ্চলে দেখা যায়, সামরিক জান্তার নিরাপত্তাবাহিনী বেসামরিক যানবাহন এবং মোটরবাইক ব্যবহার করে ছদ্মবেশে শাসকবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ২৪ বছর বয়সী এক তরুণী ও এক নারী এবং একজন পুরুষ নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নিহত হন। পরে বিকেলে তারা এক নারী ও শিশুকে বহনকারী বেসামরিক গাড়িতে বিনা কারণে গুলি চালায়। এতে একজন পুরুষ নিহত হন এবং চালক আহত হয়। খবর ইরাবতির।
রবিবার বিকেলে সাইং অঞ্চলে টাউনশিপে সুশীল সমাজ গ্রুপ উইমেন ফর জাস্টিসের নেতা আহ খুকে (৩৪) বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে। এসময় সামরিক বাহিনীর হাতে আরও তিনজন নিহত হয়। একজন বাসিন্দা বলেন, আহ খুকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক পোশাক পরে দুজন নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করেছে।

সাইং অঞ্চলের মনিওয়াতে শাসক-বিরোধী বিক্ষোভের বিরুদ্ধে এক মারাত্মক হামলায় সামরিক বাহিনীর গুলিতে আহত একজন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীসহ আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে।
বিক্ষোভকারী থু ইয়া জাও বলেছেন, তারা আমাদের পাখির মতো হত্যা করছে, এমনকি আমাদের বাড়িতেও হামলা চালাচ্ছে। যাই হোক আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।

গত শনিবার ছিল মিয়ামারের সামরিক দিবস। সামরিক বাহিনী এই দিবসে বিক্ষোভকারীদের বুকে ও পিঠে গুলি করার হুমকি দিলেও মাঠে নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। এসময় পাখির মতো গুলি করে মারে বিক্ষোভকারীদের। রবিবার পর্যন্ত ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে।
মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারের রক্তপাতের ঘটনাকে অত্যন্ত ভয়ানক বলে উল্লেখ করেন। বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানরা সামরিক বাহিনীর সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে।
- সংবাদ সংলাপ/এমএস/দু

Leave a Reply