আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।”
দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে সহিংসতা শুরুর পর গত কয়েকদিনে তা ছড়িয়েছিল চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ফেনীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। সেই সাম্প্রদায়িক আগুনে রোববার রাতে পুড়েছে পীরগঞ্জের মাঝিপাড়া।
ফেইসবুকে এক তরুণের ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে সেখানে ২৯টি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সেখানে কোনো জীবনহানী হয়নি, তবে সম্পদহানী হয়েছে, বাড়িঘর পুড়িয়েছে। আমরা মনে করি এই লোকদের আমরা চিহ্নিত করেছি তাৎক্ষণিকভাবেই। এলাকাবাসীর সহায়তায় ৪৫ জনকে ধরেছি এবং আরো কয়েকজনকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।”
পীরগঞ্জে যা ঘটেছে তাকে ‘আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “ঘটনার সূত্রপাত এক কিশোরের ফেইসবুকে একটা পোস্ট নিয়ে। ইচ্ছায় দিক, বা অনিচ্ছায় বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হোক, স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এ ঘটনা আঁচ করে ছেলেটি যেখানে থাকত, সেখানে অভিযান চালায়; তবে ছেলেটিকে পাওয়া যায়নি।”