চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ছোট মেয়ে মাহমুদা খানম ভাসানী। হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মওলানা ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মাহমুদা খানম ভাসানী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন, তবে খুব ধীরে ধীরে। তিনি খুবই দুর্বল।
মাহমুদা খানম ভাসানী বলেন, ‘তাঁর (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কথা হলে তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাঁকে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানাই।’
মওলানা ভাসানীর নাতি হাবিব হাসান মনার বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। তাঁর চিকিৎসকেরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা খারাপ। তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানাই ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে।’
মওলানা ভাসানীর আরেক নাতি মাহমুদুল হক শানু বলেন, ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী আজীবন মজলুমের পক্ষে লড়াই করেছেন। যেখানে অন্যায়, সেখানেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠ।’
‘পাকিস্তান সরকারের ফাঁসির দড়ি থেকে তিনি যেভাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, তেমনি দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে নিপীড়নের হাত থেকেও তিনি রক্ষা করেছিলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য মওলানা ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি জানাচ্ছি’, যোগ করেন মাহমুদুল হক শানু।
ভাসানীর পরিবারের অন্য সদস্যেরা হলেন, ভাসানীর বড় মেয়ে রিজিয়া ভাসানী এবং নাতনি সুরাইয়া সুলতানা।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু এবং চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।