এনবি নিউজ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার চিকিৎসার মধ্যে লিকুইড অক্সিজেনের খুবই প্রয়োজন ছিল। আমাদের দেশে লিকুইড অক্সিজেন তৈরি হলেও যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু হয় না। যখন বেশি প্রয়োজন হয়েছে, তখন ভারত থেকে এনেও ব্যবহার করেছি। এখন আমরা বাংলাদেশে নতুন করে দুটি লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছি।
আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন সার্জারি চিকিৎসকদের বেসিক সার্জিক্যাল স্কিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, দুটি অক্সিজেন প্ল্যাটের ক্যাপাসিটি হবে চারশো টন। দেশে এখন দুইশো টনের মতো চাহিদা রয়েছে। এ দুইশো টনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। তবে প্ল্যান্টগুলো বাস্তবায়ন হলে সক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে। এর একটি প্ল্যান্ট মানিকগঞ্জে আর একটি উত্তরবঙ্গে স্থাপিত হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৮টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। আমাদের ওষুধপত্রের অভাব নেই। একশো পারসেন্ট বিশ্বমানের ওষুধ দেশে তৈরি হয় এবং রফতানি হচ্ছে বিদেশে। কিন্তু একটা জিনিসের অভাব রয়েছে তা হলো প্রশিক্ষিত জনবল। আমাদের হাসপাতালের সব কিছু ঠিক আছে, শুধু মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে। সেজন্য আমরা ৪টি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এ পর্যন্ত তিন কোটি মানুষকে করোনার বুস্টার ডোজ দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়তই বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন চালাচ্ছি। কিন্তু জনগণের কাছ থেকে আমরা তেমন সারা পাচ্ছি না।
তিনি হাস্য রসাত্মকভাবে বলেন, আমরা বিনামূল্যে বুস্টার ডোজের দোকান খুলে বসে আছি কিন্তু ডোজ নেওয়ার ক্রেতা পাচ্ছি না। এ সময় তিনি সকলকে বুস্টার ডোজ গ্রহণের আহ্বান জানান।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক ডা. আরশাদ উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র রমজান আলী প্রমুখ।
কর্মশালায় ৩৮ জন ইন্টার্ন চিকিৎসককে সার্জিক্যাল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আলোচনা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
এ টি