এনবি নিউজ ডেস্ক : সময়ের সঙ্গে কলকাতার বাংলা ছবি স্মার্ট হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে সিনেমার শুটিং থেকে শুরু করে পোস্ট প্রডাকশন— সব বিভাগে পাল্লা দিয়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রির ছবিও তার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে। এ বার বাংলা ছবিতেও এক বিশেষ প্রযুক্তির উন্নত ক্যামেরার প্রবেশ ঘটল। এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন জিৎ।
এই মুহূর্তে অভিনেতা জিতের প্রযোজনা সংস্থার অধীনে সৌভিক কুণ্ডু ‘বুমেরাং’ ছবিটির শুটিং করছেন। এর আগে পরিচালক জানিয়েছিলেন, জিৎ এবং রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত এই ছবিটির প্রেক্ষাপট কল্পবিজ্ঞান। ছবিতে প্রচুর জটিল দৃশ্য রয়েছে, একাধিক চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে ছবিতে নাটকীয়তা হাজির করতে চাইছেন পরিচালক। তাই নির্মাতারা ছবির কিছু অংশ ‘সিনেবট’ ক্যামেরায় শুটিং করছেন।
মূলত, কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই ক্যামেরা বিভিন্ন অ্যাকশন দৃশ্য এবং জটিল শট নির্ভুলভাবে শুট করতে সক্ষম। দ্রুত গতির এই ক্যামেরার অবস্থান পর্দায় যেন দর্শকদের চরিত্রদের আরও কাছে হাজির করে। এক সময় হলিউডে জেরার্ড বাটলার অভিনীত ‘থ্রি হান্ড্রেড’ ছবিতে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছিল। পরে বলিউডে ‘ধুম’ সিরিজ়েও এই ধরনের ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়। এখন অবশ্য বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী ছবিতেও এই প্রযুক্তির প্রবেশ ঘটেছে। তবে প্রযোজনা সংস্থার দাবি, এই প্রথম কোনও বাংলায় এই প্রথম কোনও ছবিতে এই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়। সাধারণত ছবিতে স্টান্টের জন্য যে বাইক ব্যবহৃত হয় তা পরিচিত। তবে এই ছবির জন্য একটি বিশেষ মোটরবাইক তৈরি করেছে ইউনিট, যাকে ইউনিট ‘ফিউচারিস্টিক বাইক’ বলেই উল্লেখ করতে চাইছে। জিতের কথায়, ‘‘দর্শকদের জন্য সব সময়েই আমি নতুন কিছু করতে চাই। আমার মনে হয় সিনেবট প্রযুক্তি এবং ফিউচারিস্টিক বাইকের এই নতুন অভিজ্ঞতা দর্শকদের পছন্দ হবে।’’
সৌভিকও তাঁর ছবিতে এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। বললেন, ‘‘যে কোনও নতুন জিনিস শুরুতে কঠিন মনে হয়। কিন্তু সিনেবট আমাদের কাজ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।’’ ছবিতে বাইকটিকে কী জন্য রাখা হচ্ছে? সৌভিক খোলসা করলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞদের একটি দলের পরামর্শ মতো আমরা এই বাইকটি তৈরি করেছি। বাংলা ছবিতে এরকম আগে হয়েছে বলে মনে হয় না। এই বাইক পর্দায় চলতেও দেখা যাবে। এই বাইকে স্টান্টও হবে।’’
কল্পবিজ্ঞান নির্ভর ছবির সংখ্যা টলিপাড়ায় কম। সেখানে উন্নত প্রযুক্তি ‘বুমেরাং’ কে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবেন বলেই মনে করছেন নির্মাতারা। ছবির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন সত্যম ভট্টাচার্য এবং দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, শ্যামল চক্রবর্তী প্রমুখ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, কলকাতা