ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মাঝরাতেও ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। সড়কে চাপ বাড়লেও যানজট না থাকায় প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে আসা একাধিক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বের হতে সড়কের কিছু অংশে যানজট থাকলেও বাকি পথ ফাঁকা ছিল। এজন্য স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি আমরা।
আবদুল হালিম নামে এক যাত্রী বলেন, সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ফেনী এসেছি। যানজট নিয়ে শুরুতে অনেকটা চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আসতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।রাহিম নামে আরেক যাত্রী বলেন, সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট ছিল না। যাত্রী বেশি হওয়ায় টিকিট পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তারপরও সুন্দরভাবে বাড়িতে আসতে পেরেছি এজন্য অনেক ভালো লাগছে। এ অনুভূতি অন্যরকম।রেজাউল নামে ঢাকা রুটে চলাচলরত স্টারলাইন পরিবহনের এক চালক বলেন, ঈদের এ সময়ে স্বাভাবিকভাবেই সড়কে চাপ বেশি থাকে। তবে সড়কের কোথাও তেমন সমস্যা না থাকায় নির্বিঘ্নে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি।
একাধিক বাস চালক জানান, মহাসড়কের ফেনীর ২৬ কিলোমিটার সড়কে মহিপালে ছয় লেনের ফ্লাইওভারের কারণে যানজট অনেকটাই কমেছে। এ ফ্লাইওভার দিয়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো দ্রুত চলাচল করছে। ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে আঞ্চলিক গাড়িগুলো জেলা পর্যায়ে চলাচল করছে। এতে আগের মতো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের।
ঢাকা-ফেনী-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী স্টার লাইন পরিবহনের পরিচালক মাঈন উদ্দিন বলেন, এবারের ঈদযাত্রা অনেকটাই নির্বিঘ্ন। মানুষ স্বস্তির সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি আসতে পারছে। বাসগুলো অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ঢাকায় গেলেও ফেরার পথে যাত্রীর চাপ রয়েছে। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।
ফেনী হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, মানুষের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফেরা নিশ্চিতে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জরুরি সেবা নিশ্চিতে তিনটি রেকার, দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এজন্য একটি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রয়েছে। পাঁচ সদস্যের দুটি মোবাইল টিম ২৪ ঘণ্টা মহাসড়কে কাজ করছে। এ ছাড়া দুটি মেকানিক টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লেও সড়কে যানজট নেই।