এনবি নিউজ : রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আগের মতোই আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া গতকাল যেমন ছিলেন, উনার স্বাস্থ্যের অবস্থা আজও তেমন-ই আছে। উনার চিকিৎসা চলছে। আমি আজও একটু আগে উনাকে দেখে এসেছি।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া গত ২৭ তারিখ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ভর্তি থাকা অবস্থায় উনার শ্বাসকষ্ট হয়, পরে উনাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। ডাক্তার শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটা বোর্ড উনার চিকিৎসায় কাজ করছেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গতকাল ও আজ ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) কিছু পরীক্ষা হয়েছে, মেডিক্যাল বোর্ড সেগুলো রিভিউ করেছে। রিভিউ করে কিছু প্রগ্রেস দেখেছে। কিছু ট্রিটমেন্ট সংযুক্ত করেছে এবং সেই অনুযায়ী উনার চিকিৎসা চলছে।’
বিএনপি নেত্রীর এ চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা আপনাদের মাধ্যমে গোটা দেশবাসীর কাছে ম্যাডামের আশু রোগ মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করছি। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমাদের যদি কোনো সংবাদ সম্মেলন করার দরকার হয়, আমাদের দল বিএনপির প্রেস উইং আপনাদের জানিয়ে দেবে। আপনারা কষ্ট করে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল কিন্তু ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। গতকাল তাঁকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে তাঁর পরিবার ও দল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, পরিবার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, লন্ডন বা ভালো কোথাও নিতে চায়।
ফোন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘মৌখিকভাবে আবেদন করা হয়েছে। তবে তাঁকে (খালেদা জিয়া) বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকারের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না, এটা আদালতের এখতিয়ার।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদালতের কাছে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন।