এনবি নিউজ : চীনের দ্বিতীয় দফার উপহারের ছয় লাখ কোভিড টিকা আগামী ১৩ জুনের মধ্যে ঢাকায় আসতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। ঢাকায় চীনের দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর ও ডেপুটি চিফ মিশন (ডিসিএম) হুয়ালং ইয়ান আজ শনিবার সকার ৭টার দিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা জানান।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে হুয়ালং ইয়ান বলেন, চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহারের ছয় লাখ টিকা ১৩ জুনের মধ্যে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ আগে আরেক স্ট্যাটাসে একটি খবরের লিঙ্ক শেয়ার করে হুয়ালং ইয়ান বলেন, ‘আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের দিক থেকে কেন সব সময় ভুল তথ্য আসে, সংবাদমাধ্যমের খবর যদি সত্য হয়। প্রথম কথা হলো, সিনোফার্ম ও বাংলাদেশের মধ্যে এখনও কোনো চুক্তি হয়নি। দ্বিতীয়ত, এটি বাংলাদেশ সরকার ও সিনোফার্মের মধ্যে বাণিজ্যিক দরদাম, চীন সরকারের সঙ্গে নয়।’
হুয়ালং ইয়ান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি ভাই-বোনেরা যাতে যত দ্রুত প্রয়োজনীয় টিকা পায়, সেটাই এই মুহূর্তের মূখ্য বিষয়।’
দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিকের খবরের লিঙ্ক শেয়ার করেন হুয়ালং ইয়ান। খবরটির শিরোনাম—‘সিনোফার্ম ভ্যাকসিন : চায়না ভয়েসেস অ্যানয়্যান্স অব ডিসক্লোজার অব সেল প্রাইস’। ওই খবরে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘চীনের সিনোফার্মের টিকার দাম প্রকাশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এখন আর এত কমদামে টিকা পাওয়া যাবে না। সবার কাছে বাংলাদেশকে দিতে চাওয়া দামের দ্বিগুণ বা তিনগুণ দামে তা কিনতে হবে।’
চীনের কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা প্রতি ডোজ ১০ মার্কিন ডলার করে বাংলাদেশ পাবে বলে জানা যায়।
এর আগে চীনের উপহারের আরও পাঁচ লাখ ডোজ টিকা গত ১২ মে ঢাকায় পৌঁছায়।
বাংলাদেশ সরকার জানায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও মান বিবেচনায় চীনের টীকা উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পাঁচ লাখ ডোজ টিকার মধ্যে থেকে এক হাজার মানুষের শরীরে প্রথমে প্রয়োগ করা হয় এবং পর্যবেক্ষণ করার পর যথাযথ নিয়মে টিকাদান কার্যক্রমে এগুলোর ব্যবহার করা হয়।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) চীনের কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকা সিনোভ্যাক জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের জন্য করোনা টিকার তহবিল কোভ্যাক্স এই টিকা কিনবে বলেও জানানো হয়।
সিনোফার্মের টিকাটি মাত্র ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় অর্থাৎ সাধারণ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়। এ কারণে এই টিকাকে সহজে সংরক্ষণযোগ্য টিকাগুলোর মধ্যে অন্যতম বলা হচ্ছে।