জানা গেছে, ‘কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মলনুপিরাভিরের জরুরি ব্যবহারে প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে অধিদপ্তর।’ ইতিমধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস দেশে মলনুপিরাভির উৎপাদন ও বিপণনের অনুমতি পেয়েছে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দেশে মলনুপিরাভির উৎপাদন ও বিপণনের অনুমতি চেয়েছিল।
নভেল করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় মুখ দিয়ে গ্রহণের প্রথম এ ওষুধটি যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থারও অনুমোদন পেয়েছে। সেখানে কোভিডে সম্প্রতি আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের দিনে দুবার করে মলনুপিরাভির বড়ি সেবন করতে দেওয়া হবে।
মূলত সর্দি-জ্বরের চিকিৎসার জন্য তৈরি বড়িটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো ফলাফল দেখিয়েছে। এ বড়ি সেবনে হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। খবর বিবিসির।
একেবারে নাজুক অবস্থার রোগীদের জন্য বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের একেবারে কম তাদের জন্য এ চিকিৎসাকে ‘যুগান্তকারী’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের দেশের জন্য ঐতিহাসিক। কারণ, কোভিড চিকিৎসায় ঘরে বসে নেওয়া যাবে—এমন জীবাণুপ্রতিরোধী ওষুধ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য অনুমোদন দিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে মলনুপিরাভির নামের মুখে খাওয়ার এ ওষুধ।
যুক্তরাজ্য নভেম্বরে প্রত্যাশিত প্রথম চালানে চার লাখ ৮০ হাজার কোর্স কিনতে সম্মত হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এটি একটি জাতীয় সমীক্ষার মাধ্যমে টিকাপ্রাপ্ত এবং টিকাবিহীন উভয় রোগীদেরই দেওয়া হবে এবং আরও অর্ডার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এর কার্যকারিতার অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণক সংস্থার কাছেও মলনুপিরাভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হবে বলে মার্ক এর আগে জানিয়েছে। ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এ ওষুধের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ইতি টেনেছে মার্ক।
এ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবার্ট ডেভিস বলেন, ‘কোভিডের চিকিৎসা নিয়ে সব আলোচনাই এ ওষুধ বদলে দেবে।’