এনবি নিউজ : ফেসবুক লাইভে এসে মাথায় গুলি করে ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে পুলিশ। লাশের সুরতহাল শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মৃতর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে জামাতা চিত্রনায়ক রিয়াজ তার শশুরের মরদেহ গ্রহন করেন।
পুলিশ বলছে, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে খুবই হতাশাগ্রস্ত ছিলেন আবু মহসিন খান। যাঁদের কাছ থেকে টাকা পেতেন, তারাই উলটা তাঁর নামে মামলা করেছে।
আবু মহসিন খান গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধানমণ্ডির নিজ বাসায় বসে তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন। সেখানে আত্মীয়-স্বজনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে কালেমা পড়ে ফেসবুক লাইভে লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আবু মহসিন খানের বড় মেয়ে তিনা চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজের স্ত্রী; তাঁরা রাজধানীর বনানীতে থাকেন। নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী ছোট ছেলে নিশানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। নিজ সন্তানদের প্রতি ফেসবুক লাইভে ক্ষোভের কথা জানালেও আত্মহত্যার ঠিক আগে তাদের প্রতি দিয়েছেন বাবা হিসেবে শেষ উপদেশ।
এরই মধ্যে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি জোনের এসি আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘আমরা যে আলামত পেয়েছি, তাতে ব্যক্তিগত লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে হচ্ছে। ব্যবসায়িক কিছু লেনদেনে উনি খুব হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। যাঁদের কাছ থেকে টাকা পেতেন, উনারা উলটা তাঁর নামে মামলা করেছেন বলে আমরা দেখেছি। এগুলো নিয়ে উনি আসলে ব্যক্তিগতভাবে খুব হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।’ এই ঘ)টনার পেছনে কারো কোনো উৎসাহ ইন্ধন বা প্রেরনা আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।