গত সপ্তাহে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬৯ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। কয়েক দিন ধরে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ৩০-এর ঘরে থাকছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যু ছিল গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু হয়।
দুই বছর ধরে চলা এই মহামারির সংক্রমণচিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা দেখা গেছে। গত বছরের জুন-জুলাইয়ে দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ বাড়ার সময় পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ আকার ধারণ করেছিল। এরপর প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে রোগী বাড়তে শুরু করে।
দেশে বর্তমানে করোনার অতিসংক্রামক ধরন অমিক্রনের দাপট চলছে। করোনার এই ধরনের বিস্তারে মাসখানেকের মধ্যেই দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম দিকেও দেশে করোনা শনাক্ত ৫০০–এর ঘরেই ছিল। ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা ১০ হাজারের ওপরে ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এ নিয়ে টানা চার দিন করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে এবং শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের নিচে রয়েছে।