এনবি নিউজ : কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত যেসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে এসেছে, তাদের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে একটি কমিটি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত বলেন, অর্থ পাচারকারীরা দেশের শত্রু, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে কোন ছাড় নয়। দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রদক্ষেপ নিতে হবে।
সিআইডির এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখে রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আদালতে সিআিইডির প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
সাত সদস্যের কমিটিতে সিআইডি (অর্গানাইজড ক্রাইম)’র উপ মহাপরিদর্শককে সভাপতি ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
সদস্য হিসেবে কমিটিতে রাখা হয়েছে, সিআইডির দুজন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ)’র দুজন প্রতিনিধি এবং সিআইডির লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপারকে। এ কমিটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভূক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল পরবর্তী আদেশের তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে এ কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থা, বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করবে। অর্থপাচার মামলায় অনুসন্ধান বা তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের আগে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিবে এবং সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি অন্যান্য ব্যাংকে দেশের কারা টাকা রেখেছে, তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের সাথে জড়িতদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান হাইকোর্ট।
গত ৩০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ- সিআইডিকে অগ্রগতি জানাতে বলেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি।
এ টি