এনবি নিউজ : ‘বিচার ব্যবস্থাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার’ এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নির্যাতন নিপীড়ন ও হয়রানি করা হচ্ছে। জাতিকে চিরস্থায়ীভাবে সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার (৪ আগস্ট) সারা দেশের জেলা ও মহানগর পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বিএনপি বলে জানান দলটির মহাসচিব। তিনি জানান, ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক ও ডা. জুবাইদার রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশে এই রায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রায় দিয়ে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়া যাবে না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, অস্তিত্ব রক্ষার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময় এই আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই রায় দেওয়া হয়েছে। তবে, এভাবে আন্দোলন কখনই স্তব্ধ করা যাবে না, বন্ধ করা যাবে না। দাবি আদায় না করে জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘শুধু তারেক রহমান নয়, যে ডা. জুবাইদা রহমান রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় তাঁকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানকে যে ধরনের মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের খালাস দেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ছিল। এই আদালতকে ব্যবহার করে সব মামলা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ বিএনপি নেতাদের ২৫ বছর আগের মামলায় ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।