এনবি নিউজ : ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি তেমন একটা দেখা না গেলেও লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি মেলায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে সদরঘাটসহ দেশের সব নদীবন্দরে। এ ঘটনায় খুশি মালিক-শ্রমিকরা। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা লঞ্চ চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ধোয়ামোছা শেষ পল্টুনে ভীড়তে শুরু করেছে লঞ্চগুলো।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রবিবার সরকারের লকডাউন সংক্রান্ত নির্দেশনার আলোকে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
যদিও এখন পর্যন্ত অফিস আদেশ জারি হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে।
এখন নিয়ম অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ অফিস আদেশ জারি করবে। এর প্রক্রিয়া চলছে। আজই সেটি জারি করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল জানান, সরকারের এই ঘোষণায় আমরা খুশি।
আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালাবো। তবে করোনায় টিকে থাকার জন্য আমাদের সরকারের সহায়তায় খুবই প্রয়োজন। আমরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে পারছিনা। ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে পডেছি। সে কারণে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আমরা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেছিলাম। তার মধ্যে একটি পূরণ হলো।
৬ মাসের জন্য বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের ফি ও চার্জ এবং ব্যাংক ঋণ ও অগ্রিম আয়কর মওকুফের দাবি জানিয়েছি আমরা। সেগুলো পুরন না হলে এখাতে টিকে থাকা মুশকিল হবে।
এদিকে লঞ্চ চলাচলের অনুমতির খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে সদরঘাট নদীবন্দরে শত শত নৌযান শ্রমিক জড়ো হয়ে আনন্দ মিছিল করেন।
বরিশালগামী পারাবত লঞ্চের শ্রমিক ইসমাইল হোসেন জানান, এতদিন লঞ্চ বন্ধ থাকায় খুবই মানবেতরভাবে জীবন-যাপন করতে হয়েছে তাকে। এবার ঈদে তিনি বোনাস পাননি। মালিকের কাছে বেতনের কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে। লঞ্চ চালু হলে সেসব সমস্যা কেটে যাবে।
জে / আর