এনবি নিউজ : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে বলেছেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্বও নেই। একটা বাজেট দিয়েছে। সেখানে পরিবেশ প্রকৃতির ওপর কত টাকা বরাদ্দ করা আছে?
তিনি বলেন, মজার ব্যাপার হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর বিশ্ব ব্যাংকের একটা ফান্ড আছে। তা থেকে গত কয়েক বছর ধরে তারা ৭শ’ কোটি টাকা ফান্ডও পেয়েছেন। তার অর্ধেক খেয়ে ফেলেছে, আর অর্ধেক ফেরত দিয়েছে। সরকারের কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য লুট করা। লুট করা ছাড়া তাদের আর কোনো কর্মকাণ্ড দেখতে পাই না।
পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং রাজনীতিবিদের অঙ্গীকার প্রয়োজন বলেও মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘বৈশ্বিক দুর্যোগ: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করছে। এই মেগা প্রজেক্টগুলো কেন? বারবার করে বলছি করোনা থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য নগদ টাকা সরবরাহ করতে। সেদিকে সরকারের কোনো লক্ষ্য নেই। তারা এই পারপাসে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মেগা প্রজেক্টের জন্য এবারও দিয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। যেটা এ মুহূর্তে কোনো প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মানুষকে বাঁচানোর।
তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে এক ভয়ঙ্কর পরিবেশে বাস করছি। এই যে কোভিড-১৯ ভাইরাস দেশে দেশে সংক্রমণ হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, প্রকৃতি এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে। অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে মনে করি টেকসই অর্থনীতি ও টেকসই পরিবেশ তৈরি করতে চাইলে নদী, পানি, বন-জঙ্গল, মাটি এবং তার বর্জ্য সব কিছুকে ম্যানেজ করার ওপর নির্ভর করবে আমি কতটা টেকসই থাকব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া পরিবেশের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা ইকো ব্যালেন্স রক্ষা করার জন্য। এই যে উপকূলের সবুজ বেষ্টনী, সে সময় লাখ লাখ গাছ লাগানো হয়েছিল। রাস্তার ধারে গাছ লাগালে সামাজিক বনায়ন হবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমান যে খাল খনন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন তা তিনটা দিক ছিল। একটি হচ্ছে প্রকৃতিক পানি সংরক্ষণ করা ও সেখান থেকে ইরিগেশন করা, মাছের চাষ করা এবং খালের দুই ধারে বাগান তৈরি করা।
এ টি