সাগর হোসেন : ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটায় রাজশাহী ও খুলনাসহ ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা সেখানকার হাসপাতালগুলোতে। খুলনা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়ার হাসপাতালে এখন ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী রয়েছে। প্রতিদিনই আসছে নতুন নতুন কোভিড রোগী। শয্যা সঙ্কটের কারণে কোথাও কোথাও রোগীদের রাখতে হচ্ছে মেঝেতেও। রোগীর চাপে অক্সিজেনসহ চিকিৎসা সামগ্রীতেও টান পড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে সীমিত সামর্থ্য আর জনবল নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ করতে হচ্ছে সেখানকার হাসপাতালগুলোকে।
ঝুঁকিপূর্ণ খুলনা
খুলনা জেলায় কোভিড-১৯ চিকিৎসার একমাত্র সরকারি জায়গা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যার অভাবে বৃহস্পতিবার নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ এনবি নিউজকে বলেন, “এই হাসপাতালে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। সঙ্কটের কারণে কোভিড ইউনিটের মেঝেতে শয্যা করা হয়েছে। রোগীর বাড়ায় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক-নার্সদের।”
হাসপাতালের কোভিড ফোকাল পার্সন সুহাস রঞ্জন হালদার এনবি নিউজকে জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছয়জন এবং উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩০ জন। যার মধ্যে ৬২ জন রেড জোনে এবং ২৯ জন ইয়োলো জোনে। এছাড়া আইসিইউতে ১৮ জন এবং এইচডিইউতে ২১ জন ভর্তি আছেন। বুধবার পর্যন্ত সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫১ জন।
ডা. সুহাস বলেন, “বর্তমানে অধিকাংশই রোগীই তীব্র উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অক্সিজেন লেভেল কম থাকা রোগী বেশি আসছে। যার কারণে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে গেছে।
“হাসপাতালের লজিস্টিক সাপোর্ট তুলনামূলক অনেক কম। রোগীর চাপ দেখে মনে হচ্ছে আরও একটি ইউনিট করতে হবে। চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তা না হলে রোগী সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে।”
তবে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশিদা সুলতানা এনবি নিউজকে জানিয়েছেন, নতুন রোগীদের চিকিৎসায় খুলনা বিভাগে যথেষ্ট চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। বিভাগটিতে মোট ৪৯টি আইসিইউ শয্যা ও ৩০৪টি হাই ফ্লো নেইজল ক্যানুলা রয়েছে।
বিভাগের ছয়টি জেলার সঙ্গে ভারতের ২৮৪ কিলোমিটার সীমান্ত থাকায় এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ডেল্টা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা আগে থেকে করা হচ্ছিল।
এর মধ্যে সরকারি হিসাবে দেখা যায়, গত ৩ থেকে ৭ জুনের মধ্যে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে এক হাজার।
বিভাগে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায়। ওই বছরের ২৩ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার এবং ১২ অগাস্ট ১৫ হাজার ছাড়ায়।
গত ৭ জুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়ায় বলে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন।
“বুধবার সকাল পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৫৫৭ জনের, যা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে সর্বোচ্চ শনাক্ত,” বলেন তিনি।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রোজার ঈদের পর থেকে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি মাসের প্রথম ৮ দিনে (১-৮ জুন) ২ হাজার ৬৬৪ জনের, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৩৩৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছেন ৩৫ জন।
এর আগের ৮ দিনে (২৪-৩১ মে) ১ হাজার ২২২ জনের, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১৫৩ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনজুরুল মুরশিদ এনবি নিউজকে বলেন, “এ মুহূর্তে বিভাগের করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এক সপ্তাহে বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় যে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, একসপ্তাহ পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
কুষ্টিয়ায় চিকিৎসকরা অপ্রস্তুত, রোগীরা অসন্তুষ্ট
গত ২০ দিনের ব্যবধানে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ১০ গুণ বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হবে বলে মনে করেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার।
তিনি জানান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতালসহ ম্যাটসের ডরমেটরি মিলিয়ে ৫৪ জন রোগীকে আইসোলেশনে রাখার মতো সক্ষমতা থাকলেও তা অতিক্রম করে এখন মেঝেতে পর্যন্ত কোভিড রোগী রাখতে হচ্ছে।
এসব রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষমতা রয়েছে ছয় হাজার লিটার। তা দিয়ে প্রতি ১০ জন রোগীকে বিরতিহীন অক্সিজেন সাত দিন দেওয়া সম্ভব।
ডা, তাপস বলেন, যেহেতু হাসপাতালে আইসিইউ নেই তাই অক্সিজেন সরবরাহের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ২০ হাজার লিটার অক্সিজেন মজুদ করার কাজ চলছে, যা প্রায় শেষের দিকে।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি কোভিড রোগীদের অনেকেই যথাযথ সেবা না পাওয়ার কথা বলেছেন।
সদর উপজেলার লাহিনী গ্রামের আহাদ আলী কোভিড নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
তার স্ত্রী সজনী খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনা রোগী হয়ে কেউ যেন হাসপাতালে না আসে। অসহ্য কষ্টের কথা জানিয়ে একটু দেখার অনুরোধ করলেও ডাক্তার বা নার্স সাড়া দেন না। শত অনুরোধ করলে কখনও কয়েক ঘণ্টা পর এসে দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলে। কিন্তু আমার রোগী অনেক দুর্বল, জোরে কথাও বলতে পারেন না।
“রোগীকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখলে একটু ভালো থাকে, যখনই শেষ হয়ে যায় তখনই কষ্ট বেড়ে যায়। ওষুধ হাসপাতাল থেকে কিছু দেয়, আর আমরা বাইরের দোকান থেকে কিনে আনি।”
এ বিষয়ে আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বলেন, “রোগীর সংখ্যা অনেক আগেই আমাদের সামর্থ্য ছাড়িয়ে গেছে। সীমিত সামর্থ্য নিয়েই আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছু সীমাবদ্ধতা-ত্রুটি হতে পারে।”
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এনবি নিউজকে জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনে জেলা সদর ছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কোভিড রোগীদের চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
নানা ঘাটতি চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে
এ জেলায় বাড়ছে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার বর্তমানে ২০ শতাংশের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়ঢা তথ্যে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাটিতে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৪৩ শতাংশের উপরে।
আক্রান্তদের বেশিরভাগ বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও হাসপাতালে রোগী বাড়তির দিকে।
জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে সক্ষমতা কম থাকায় রোগীর অবস্থা খারাপ হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকা, রাজশাহী কিংবা অন্য কোনো জেলায়।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার আওলিয়ার রহমান এনবি নিউজকে বলেন, গত সাত দিনে (বুধবার পর্যন্ত) জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৪ জন।
জেলার চারটি সরকারি হাসপাতালে (চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, দামড়ুহুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আলমডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য মোট শয্যা আছে ১৯৫টি। কোনো আইসিইউ, সিসিইউ ও এসডিইউ নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে বড় ৫৪টি ও ছোট ১৪৫টি। এছাড়া সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই অ্যান্ড অক্সিমেন্ট প্লান্ট আছে। যাতে বুধবার পর্যন্ত অক্সিজেন ছিল পাঁচ হাজার ৬৪৪ লিটার। এসব হাসপাতালে চিকিৎসক আছেন মোট ৪০ জন।
ডা, আওয়লিয়ার বলেন, “অক্সিজেনের প্রস্তুতি যা আছে তাতে কতদিন চলবে তা বলা সম্ভব নয়। তা নির্ভর করবে রোগীদের চাহিদার ওপর। তবে যেহেতু চুয়াডাঙ্গায় কোনো আইসিইউ নেই সে কারণে কোনো সঙ্কটাপন্ন রোগীকে চুয়াডাঙ্গায় রাখা ঝুকিপূর্ণ। কাউকে ঝুকিপূর্ণ মনে হলে আমরা তাকে রেফার্ড করছি।”এই জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে আক্রান্ত বাড়ছে দামুড়হুদা উপজেলায়।
চুয়াডাঙ্গাও জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এনবি নিউজকে বলেন, দামুড়হুদার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে চুল প্রসেসিং কেন্দ্র রয়েছে প্রায় ২০০টি। এসব কারখানায় প্রায় এক লাখ নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করে।
“তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছিল না বলে অভিযোগ পেয়ে প্রসেসিং কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে অবৈধপথে চুল আসারও অভিযোগ আছে। সীমান্ত গ্রামগুলোতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী ১৬ গ্রামে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।”
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে রোগী নিয়ে স্বজনরা।
রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাসপাতাল ভরতি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত কয়েকদিন ধরেই একাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস এনবি নিউজকে জানান, গত আটদিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ৯ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৮০ জন। এর মধ্যে ৪৯ জনই মারা গেছেন রোগ শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
একক জেলা হিসেবে রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ৩৫৩ জন নতুন রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়ায় ২১ শতাংশ।
ডা. সাইফুল জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন ২৭৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৩৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০২, নওগাঁর ১৩, নাটোরের ১৭, পাবনার তিনজন ও কুষ্টিয়ার তিনজন। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ১৭ জন।
হাসপাতালে করোনা ইউনিটে সোমবার পর্যন্ত শয্যা ছিল ১৩৫টি। রোগীর চাপ দেখে মঙ্গলবার আরেকটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এখন ১৮টি আইসিইউসহ শয্যা সংখ্যা ২৬৪টি। সেখানে রোগী ভর্তি করা হয়েছে ২৭৭ জন। বাকিদের রোগীদের মেঝেতে রাখা হয়েছে।
ডা. সাইফুল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৭ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃহস্পতিবার ১৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী এনবি নিউজকে জানিয়েছেন, জেলায় এখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৯৩ জন।
জেলার একমাত্র কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হচ্ছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল। সেখানে কোভিড শয্যা রয়েছে ৫০টি। কিন্তু রোগী ভর্তি আছেন ৫২ জন।
হাসপাতালে আইসিইউ না থাকলেও একটা হাইফ্লো নেইজল ক্যানুলাসহ অন্যান্য উপকরণ আছে।
“হাসপাতালে ৫ হাজার ১০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন ট্যাংক আছে, এটা খালি হওয়ার আগেই পূর্ণ করা হয়। এছাড়া ৩৬টা বড় সিলিন্ডার রয়েছে। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এখন হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে,” বলেন সিভিল সার্জন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন খুলনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এনবি নিউজ প্রতিনিধি]