এনবি নিউজ : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ছিনতাই হওয়া আইফোন উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগ। ডিএমপির জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলো—মো. সগির, মো. সুমন মিয়া, মো. জাকির, মো. হামিদ আহম্মেদ সোহাগ আরিফ ও মো. জীবন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে থেকে একটি মোটরসাইকেল, বিভিন্ন মডেলের ১০টি ফোন, একটি ল্যাপটপ এবং মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘রমনা বিভাগের ধানমন্ডি থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মন্ত্রীর চুরি যাওয়া মোবাইলসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’
সাজ্জাদুর রহমান জানান, ধানমন্ডি থানার একটি মামলার ভুক্তভোগী গত ১২ জুন বিকেলে রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে থাকা অজ্ঞাতনামা দুজন ব্যক্তি তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। এরপর সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে মো. সগির ও সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীকালে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ওই ভুক্তভোগীর মোবাইলফোনসহ পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া আইফোনটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ডিসি সাজ্জাদুর।
এর আগে গত ৩০ মে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বের হয়ে নিজের মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে বিজয় সরণির দিকে যাচ্ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ওই সময় গাড়ির জানালা খোলা ছিল। হঠাৎ এক ছিনতাইকারী পরিকল্পনামন্ত্রীর মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালায়। তদন্তের পর ওই ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেছিলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের মোবাইল ফোনটি একজন হেরোইনসেবী ছিনতাই করেছে। প্রথমে সে বুঝতে পারেনি যে, মন্ত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে। পরে যখন বুঝতে পেরেছে তখন গা-ঢাকা দিয়েছে। ছিনতাইকারীকে চিহ্নিত করা গেছে। তার নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। ওই ছিনতাইকারী রাস্তার মুখে স্থাপিত উড়োজাহাজের ভাস্কর্যের নিচে ঘুমাত। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। আমরা তাকে দ্রুতই ধরে ফেলব বলে আশা করছি। সে মূলত ছিনতাই করে আর নেশা করে।’
এ ঘটনার পরপরই পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ব্যক্তিগত সহকারী কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল আলম বলেছিলেন, এই ঘটনাটি পুলিশের কয়েকটি সংস্থা তৎপর রয়েছে। সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, নভোথিয়েটারের উল্টো পাশ থেকে ছিনতাইকারী মুঠোফোনটি নিয়ে তেজগাঁওয়ের দিকে চলে যায়। সে সময় টিপটিপ বৃষ্টিও হচ্ছিল। সন্ধ্যা বলে অন্ধকারও ছিল।