আজ সোমবার বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে সারাবিশ্ব। বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কারণে সোমবার মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। এরফলে ভরদুপুরে চাঁদের ছায়া সূর্যকে তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড ঢেকে ফেলায় এ তিন দেশের দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার।
দুপুর ১টা ৫২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে শুরু হয়ে ধীরে ধীর সূর্যকে ঢাকতে শুরু করবে চাঁদ। তবে বিকাল ৩টা ৭ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডে পূর্ণগ্রাস শুরু হয়ে শেষ হবে ৩টা ১১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে। অর্থাৎ, তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হতে পারে এবারের এ মহাজাগতিক ঘটনা।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরল রেখায় অবস্থান করে। চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। তাই এ সময় কয়েক মিনিটের জন্য আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে, মনে হয় পৃথিবীতে রাত নেমে এসেছে। আর একেই বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
৫৪ বছর পর এমন সূর্যগ্রহণ হওয়ায়, নাসার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যগ্রহণকে ‘বিশেষ’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার হতে পারে ২০৭৮ সালে।
নাসা জানিয়েছে, মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।
এদিকে প্রায় সাড়ে চার দশক পর প্রথমবারের মতো বিরল সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে কানাডা। পূর্ণাঙ্গ এই সূর্যগ্রহণ দেখতে কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছে জড়ো হতে পারেন অন্তত ১০ লাখ দর্শনার্থী। তবে বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্ণ এই সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করা হয়েছে।
কারণ এক্ষেত্রে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য বিশেষ ধরনের গ্লাস দিয়ে এটি দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে সাধারণ কোনো সানগ্লাস এ ক্ষেত্রে নিরাপদ হবে না, বিশেষভাবে তৈরি সানগ্লাস ব্যবহার করে সূর্যগ্রহণ দেখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।