এ দিন দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ব্রাজিলের ওপর চড়াও হয়েছিল ক্যামেরুন। বেশ কয়েকটি আক্রমণ ছিল দেখার মতো। বিশেষ করে ক্যামেরুন স্ট্রাইকার ব্রায়ান এমবেউমোর পাসে দারুণ বল পেয়েছিলেন ভিনসেন্ট আবুবকর। ব্রাজিলের ফাঁকা গোলে তিনি বল জড়াতে ব্যর্থ না হলে তখনই দল পেত লিড।
তবে ব্রাজিল আক্রমণের ধারা বজায় রাখলেও কেউ শেষটা ভালো করতে পারছিলেন না। ফলে গোলও আসেনি। ৫৬ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের পাসে ব্রাজিল স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি ডান পায়ের দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন গোলে। তবে গোলরক্ষক ডেভিস এপাসি দলকে গোল হজম করা থেকে বাঁচিয়েছিলেন। ৫৮ মিনিটে এডার মিলিটাও ব্যর্থ হয়েছেন গোল করতে।
ডাগআউটে বসে খেলা দেখছিলেন থিয়াগো সিলভা, মারকুইনহোস, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রসহ অনেকে। তবে তারকা ছাড়া দলকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। ব্রাজিলের প্রচণ্ড ফিনিশিং অভাব বোধ হচ্ছিল পুরো ম্যাচ জুড়ে। অভিজ্ঞ দানি আলভেস- গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা কিছুই করতে পারেননি এদিন।
প্রথমার্ধের ২ মিনিটে ফ্রেড এবং অ্যান্তনির আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে সেখান থেকেও গোল পায়নি ব্রাজিল। ১৪ মিনিটে ফ্রেডের বাড়ানো বলে প্রায় গোল করেই ফেলছিলেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। কিন্তু ক্যামেরুন গোলরক্ষক ডেভিস এপাসির কল্যাণে আবারও ব্যর্থ হয়েছিল ব্রাজিল।
প্রথমার্ধ জুড়ে এরকম আরও সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল, যার একটিও কাজে লাগেনি। হয়নি গোল। অন্যদিকে বিরতির আগে নির্ভার ছিল ক্যামেরুনের আক্রমণ। ৪৮ মিনিটে ব্রায়ান এমবেউমোর আক্রমণ বাদে প্রথমার্ধে আর কিছুই করতে পারেনি তাঁরা। তবে প্রথমার্ধে যাই হোক, দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে ক্যামেরুনের একমাত্র গোলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি হারতে হলো ব্রাজিলেকে।
আগামী ৫ ডিসেম্বর রাত ১টায় স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।