জানতে চাইলে আলিনা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ দে বলেন, আলিনার বাবা বিষয়টি জানিয়েছেন। তাঁকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইপিজেড থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, আলিনার বাবা থানায় জিডি করলে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তিনি প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘হুমকির বিষয়টি থানা–পুলিশকে জানানো হয়নি। তারপরও আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’
নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় আলিনাদের বাসা। তার বাবা সোহেল রানা। তিনি স্থানীয় একটি মুদিদোকানের মালিক। ১৫ নভেম্বর বিকেলে আলিনা ইসলাম আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে পড়তে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে, শিশুটি মক্তবে যায়নি। উৎকণ্ঠায় থাকা পরিবার ১০ দিন পর গত শুক্রবার জানতে পারে, তাদের সন্তান খুন হয়েছে পরিচিতজন আবির মিয়ার হাতে। আয়াত তাঁকে ডাকত চাচ্চু বলে।
আবিরের বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম। তাঁরা আলিনাদের বাসায় ভাড়া থাকেন। ২৫ নভেম্বর আবিরকে গ্রেপ্তারের পর তিনি খুনের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। এর চার দিন পর আলিনার লাশের অংশ উদ্ধার করে পিবিআই।
পিবিআই বলছে, ছয় থেকে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা ছিল আবিরের। অপহরণের পর শিশুটি চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে আবির। পরে তার লাশ ছয় টুকরা করে ফেলে দেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর বন্দরটিলা আকম আলী ঘাটসংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকা থেকে দুটি পা এবং পরদিন একই এলাকা থেকে আলিনার মাথা উদ্ধার করে পিবিআই।