কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে জেতে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। গোলটি করেন বাঁজামাঁ পাভার্দ।
এই জয়ে ইতিহাসে নাম লেখাল বায়ার্ন। বার্সেলোনার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বছরে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলে ছয় শিরোপার সবগুলোই জিতল তারা। ২০০৯ সালে পেপ গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে এই কীর্তি গড়েছিল কাতালান দলটি।
বায়ার্ন গত বছর জিতেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বুন্ডেসলিগা, জার্মান কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও জার্মান সুপার কাপ। ক্লাব বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল গত ডিসেম্বরে, কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
অষ্টাদশ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে উদযাপন শুরু করেছিলেন জশুয়া কিমিচ। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। কিমিচের শটের সময় অফসাইড পজিশনে বলের লাইনে ছিলেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। বল যদিও তিনি স্পর্শ করেননি।
সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে উত্তর আমেরিকার প্রথম দল হিসেবে প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে আসা তাইগ্রেস ৩৫তম মিনিটে আরেক দফা বেঁচে যায়। লেরয় সানের শটে বল পোস্টে লাগে।দ্বিতীয়ার্ধেও বায়ার্নের একের পর এক প্রচেষ্টায় মিলছিল না সাফল্য। অবশেষে ৫৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। কিমিচের ক্রসে লেভানদোভস্কির হেড পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে এসে ঠেকানোর চেষ্টা করেন গোলরক্ষক। বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান পাভার্দ। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।
৮২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। বদলি নামা কোরোঁতাঁ তোলিসোর দূরপাল্লার শট লাগে পোস্টে। একটু পর ডাবল সেভ করেন গোলরক্ষক। লেভানদোভস্কির বদলি নামা এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের শট ফেরানোর পর কিমিচের শটও ঠেকান তিনি।
ক্লাব বিশ্বকাপে এটি বায়ার্নের দ্বিতীয় শিরোপা। ২০১৩ সালের জিতেছিল প্রথমবার।তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পালমেইরাসকে টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে মিশরের আল আহলি। নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন গোলশূন্য ড্র ছিল।
সেমি-ফাইনালে আল আহলির বিপক্ষে জোড়া গোল করা লেভানদোভস্কি জিতেছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল।