এনবি নিউজ : বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর আজ বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে অনিবার্যকারণে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত শনিবার বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। পরীক্ষার পর প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁস হওয়ার কথা জানান অনেকে।
আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটি পরীক্ষাটি সম্পাদন করে। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় চক্রের পাঁচ সদস্যকে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। এর মধ্যে একজন মো. মোক্তারুজ্জামান ওরফে রয়েল। তিনি আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির টেকনিশিয়ান। তার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যদের সহায়তা প্রশ্ন ফাঁস হয় বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- রূপালী ব্যাংকের সাভার শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানে আলম ওরফে মিলন (৩০), পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মিলন (৩৮), রাইসুল ইসলাম ওরফে স্বপন (৩৬) ও মো. শামসুল হক ওরফে শ্যামল (৩৪)।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কাছে ব্যাখা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কেন কালো তালিকাভুক্ত করা হবে না, তা জানতে গতকাল বিকেলে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে থাকা ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আহছানউল্লাহর তিন কর্মীকে গতকালই বহিষ্কার করা হয়। একই ঘটনায় পূবালী ব্যাংকের একজন প্রিন্সিপাল অফিসারও বরখাস্ত হন বলে জানা গেছে।
এ টি