এনবি নিউজ : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আন্দোলন বা নির্বাচন, আমরা যে দিকেই যাই-এর জন্য প্রথমে আমাদের সু-সংগঠিত একটি শক্তিশালী সংগঠন দরকার। তাই আগামী ৩১ মার্চ এর মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা সম্মেলন সমাপ্ত করে জেলা কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাতীয় পার্টির চাইতে একটু বড় দল হলেও একমাত্র আমরাই বলতে পারি সারা দেশে আমাদেরই শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। জাতীয় পার্টির পতাকাতলে দেশের তরুণ সমাজ ও উদিয়মান রাজনীতিকরা এখন ঝুকছে দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ-বিএনপির শাসনামল দেশের মানুষ দেখেছে। তাদের সীমাহীন ব্যর্থতার, দুর্নীতি, জুলুম, নির্যাতনে দেশের মানুষ দিশেহারা। তাই আওয়ামী লীগ বা বিএনপিকে এদেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অপরদিকে জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সু-শাসন ছিলো, মানুষ মুখ খুলে কথা বলতে পারতো। আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামাত মিলে তখন আন্দোলন করেছে। নূর হোসেনের মৃত্যু, তারা বুকে-পিঠে স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক-লিখে রাস্তায় মিছিল করতে পেরেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শাসন বলে কোনো কথা নেই, সু-শাসন তো মোটেই নেই। কি গণতন্ত্র আমরা পেয়েছি? সাংবিধানিকভাবে আমাদের দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। সাংবিধানিকভাবে আমাদের দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। সেই একনায়কতন্ত্রের কুফল আমরা প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে অনুভব করছি। প্রতিটি মানুষ এই অবস্থার মুক্তি চাচ্ছে। মানুষ চাচ্ছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক অবস্থা-যার জন্য স্বাধীনতার সংগ্রাম হয়েছিল।

শুক্রবার গাজীপুর শহরের রথখোলাস্থ বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩’শ আসনে নির্বাচন করবে বলে ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেন তিনি। এসময় তিনি সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিনকে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও গাজীপুর সিটি কাউন্সিলর মো. মোশারফ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করলে উপস্থিত কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তা গৃহীত হয়। নতুন সভাপতি-সম্পাদককে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করিয়ে নেয়ার জন্য বলেন।

গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো: মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, মো. লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি আহবায়ক মিসেস শেফা কাদের এমপি, জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ফারহিন হাসান মুন্নি, মহানগর জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি জাকির হোসেন, পবন চন্দ্র ঘোষ, হাসান সারোয়ার সুজন, জহিরুল ইসলাম সরকার, আমান উল্লাহ আমান, সালাম মোল্লা ও মহানগরের ৯টি সাংগঠনিক থানা শাখার নেতৃবৃন্দ।
এ টি