এনবি নিউজ : দীর্ঘদিন পর করোনা শনাক্তের সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৫৯ জনের শরীরে করোনা ধড়া পড়েছে। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ হাজার ২৪ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৮৬১ জনে।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের দিন শুক্রবার ১১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা শনাক্ত হন ১৪০৬ জন, শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ১০ জনের মৃত্যু হয় করোনায়; শনাক্ত হন ১৫১৬ জন, শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর আগে বুধবার করোনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়; করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ২৯৮ জনের, শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মঙ্গলবার ১৬ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; শনাক্ত হন ১৫৯৫ জন, শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তারও আগে সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়।
শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৩৪৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৪২৫ জন।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৩৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১৮ হাজার ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।
২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে।
এ টি