এনবি নিউজ : জমি বিক্রির ১৪ বছর পর ক্রেতাকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে স্বানামধন্য ইউনাইটেড গ্রুপের বিরুদ্ধে। জোরপূর্বক উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আইনি ব্যবস্থায় যাওয়ায় জমির ক্রেতাসহ তার পরিবারকে গুম ও প্রাণ নাশের হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসাসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন ইউনাইটেড গ্রুপের কাছ থেকে কেনা জমির মালিক দাবীদার এম এম এ কাদের।
শনিবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে তিনি জানান, গত ২০০৬ সালে ইউনাইটেড গ্রুপের আওতাভুক্ত নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে স্ত্রী ইয়াসমিন ও তার টাকা মিলিয়ে ১ বিঘার প্লট কেনেন তিনি। পরে সেখানে টিনের ঘরবাড়ি, ডেইরী ফার্মসহ গুদাম বানান। নামজারী পরবর্তি সরকারী ভূমি উন্নয়ন ও খাজনা পরিশোধও করছিলেন নিয়মিত ভাবেই।
তিনি আরো বলেন, তবে গত ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টম্বর বাড্ডা থানার মাদানী এভিনিউ ১০০ ফুট সংলগ্ন নেপচুন সিটির ১ নাম্বার সেক্টরের ১০৩ ও ১০৮ নাম্বার সড়কের ৫১ নাম্বার প্লট ছেড়ে দিতে চিঠি দেয়া হয়। এর বিনিময়ে সেখান অন্য জায়গায় প্লট দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হলেও আমি লিখিতভাবেই তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করি। কারন আমাকে তারা যে প্লট দিতে চায় তা ছিল অনেক ভিতরে জায়গায়। তাদের প্রস্তাব না মানায় ওই বছরের ১০ অক্টোবর করোনা মহামারীতে লকডাউন চলাকালীন প্লট থেকে উচ্ছেদ করে মাটি দিয়ে ভরাটের চেষ্টা চালায়। এরপরই বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালত, ঢাকায় একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা করি। এরই ভিত্তিতে কোর্ট স্থিতাবস্থায় বজায় রাখার নিষেধাজ্ঞা দেন। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই জমিতে মাটি ফেলে আরো উঁচু করে চলাচলের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়।
গত বছরের ৩ মার্চ একই আদালতে ভায়োলেশন মিস মোকদ্দমা করি। এরপরই আমার ছেলেদেরসহ পরিবারের সবাইকে গুম ও হত্যা করার হুমকি-ধামকি শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা থানায় জিডি করি আমি। এছাড়াও মহানগর হাকিমের আদালতে সি.আর মামলা করি। এরই ধারাবাহিকতায় পিবিআইকে তদন্তের করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন আদালত। প্রথমে পিবিআইয়ের বনশ্রী শাখা তদন্ত করলে এরই মধ্যে কল্যানপুর অফিস থেকে বদরুল হায়দার নামে একজন পিবিআইয়ের এসআই পরিচয় দিয়ে জানান মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা তিনি। তাকে জমি সংক্রান্ত কাগজাদি সরবরাহ করা হলেও তিনি ঠিক মতো সহায়তা করছেন না বলে অভিযোগ এম এম এ কাদেরের।
এ টি