এনবি নিউজ : চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মূল বরাদ্দ থেকে ৭ হাজার ৫০২ কোটি টাকা কমছে। ওই বরাদ্দ বাদ দিয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকার এডিপির প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির আকার হচ্ছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ মূল এডিপি থেকে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি ছিল ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২১ কোটি টাকার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি বরাদ্দ ৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বেশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এমএ মান্নানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় এডিপি সংশোধনের এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়। আগামী মাসের প্রথম দিকে এনইসি সভার বৈঠকে এই প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, কাটছাঁট করার প্রস্তাবের পুরোটাই বৈদেশিক সহায়তা থেকে কাটা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে এই সংশোধন করা হয়। সংস্থাগুলো বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ থেকে ৭ হাজার ৫০২ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে বলেই ওই অর্থ বাদ দিয়ে এডিপি সংশোধন করা হচ্ছে। প্রস্তাব অনুযায়ী সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহন খাতে, ৪৯ হাজার
২১২ কোটি টাকা। মূল এডিপিতেও খাতটিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ছিল, ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে। মূল এডিপিতে এ খাতে ২৫ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এখন ২৬ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা ও ধর্ম খাত। মূল এডিপিতে এ খাতে ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। এখন তা ২৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে বিদ্যুৎ খাত, ২১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে ছিল ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। পঞ্চম সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এডিপি সংশোধনের জন্য সমন্বয় কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খন্দকার আহসান হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অর্থ বরাদ্দের চাহিদার ভিত্তিতেই এডিপি সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ টি