এনবি নিউজ : আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। মঞ্চ থেকে ভেসে আসছে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর একুশের সেই গান, মানুষের মুখেও সেই গান, বুকে কালো ব্যাচ, মুখে বর্ণমালা আঁকা আর কালো পাঞ্জাবি গায়ে প্রভাতফেরিতে নামে লক্ষ জনতার ঢল।
আজ মঙ্গলবার একুশের ভোর ছয়টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের প্রতি জানিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা দিয়ে শহীদ মিনারে সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা জানান তারা৷ এদিন বড়দের পাশাপাশি প্রভাতফেরিতে অংশ নেয় শিশুরাও।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় শহীদ মিনার।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে প্রভাত ফেরির র্যালি শুরু হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলে প্রভাতফেরিতে অংশ নেন।
আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা শেষে উপাচার্য বলেন, যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ খুব সহজে ও সংক্ষিপ্তভাবে সবকিছু করতে চায়। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রভাতফেরির ঐতিহ্যগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যেসব বিষয়ে মানুষ অনেক সময় ও শ্রম দেয়, সেসব বিষয় দীর্ঘস্থায়ী হয়। এতে একধরনের মূল্যবোধ জড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রভাতফেরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএএসএম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ টি