এনবি নিউজ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশকে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসার কথা রয়েছে।
সফরকালে এই চার প্রতিনিধিদলের আলোচনায় সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সামগ্রিক মানবাধিকার সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে বলে ঢাকা, ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসের কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে আভাস পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আসছেন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। তৃতীয় সপ্তাহ বা কাছাকাছি সময়ে আসার কথা রয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজের। কাছাকাছি সময়েই আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুটি প্রতিনিধিদল।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে ততটা সোচ্চার ছিল না, তখনো এই বিষয়গুলোতে ইইউ সরব ছিল। তবে এটাও ঠিক যে বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে ইইউ এককভাবে কিছু করতে পারে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নিলে ইইউ তাতে যুক্ত থাকতে পারে।
এরপর আসার কথা রয়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজের। তিনি ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ী পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও বসতে পারেন।
এদিকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য ৯ জুলাই চার সদস্যের স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল আসবে ইউরোপ থেকে। আর ২৪ জুলাই থেকে কয়েক দিনের সফরে আসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমোন গিলমোর। তিনি আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে (জুন মাস বাদে) প্রায় ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন স্তরের মার্কিন কর্মকর্তারা ঢাকা ঘুরে গেছেন। পাশাপাশি ওয়াশিংটনে গেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।