এনবি নিউজ : চলতি অর্থবছর বাংলাদেশে পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে। আর অর্জিত হয়েছে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি। তবে আগামী অর্থবছরের যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, সেটি এবারও অপরিবর্তিত আছে।
আজ বুধবার প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ অর্থবছরে (৩০ জুন পর্যন্ত) ৬ শতাংশের উচ্চতর এ প্রবৃদ্ধি দেশের শক্তিশালী নিট রপ্তানিকে নির্দেশ করে। কারণ অর্থবছরে আমদানি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত কমেছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম হারে হ্রাস পেয়েছে। সরকারি নীতি সহায়ক হওয়ায় সব ধরনের পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। এছাড়া বন্যা, সাইক্লোন এবং খরার কারণে ফসলের ক্ষতি আংশিকভাবে ভর্তুকি, প্রণোদনা এবং অন্যান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছে, যার সুফল পাওয়া গেছে প্রবৃদ্ধির অর্জনের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি জনসাধারণের ভোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া এবং বিনিয়োগ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে এডিবি ২০২৪ অর্থবছরে (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের যে প্রাক্কলন দিয়েছিল তা এখনো অপরিবর্তিত আছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে যাওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি কমতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এপ্রিলের ৪ দশমিক ২ শতাংশের তুলনায় এ বছরের পূর্বাভাসে উন্নয়নশীল এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি ৩ দশমিক ৬ শতাংশের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের জন্য মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
এ টি