এনবি নিউজ : রাজধানীর ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বিএনপির ছয় নেতা–কর্মীসহ আটজন। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ও বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আহত নেতা–কর্মীরা হলেন পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব আ. আজিজ মাহমুদ (২৮), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. মহিউদ্দিন রুবেল (৩৫), কলাবাগান থানা ছাত্রদলের সভাপতি মো. জাকিরুল আলম (৩২), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নাট্যবিষয়ক সম্পাদক মো. এনামুল হক এনাম (৩৫), কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. মেহেদী হাসান আবির (২৯) ও বিএনপি কর্মী মো. ওবায়দুল (৪০)।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত নেতা–কর্মীরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
মাতুয়াইলে সংঘর্ষে আহত মো. আশরাফ (১৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন। তাঁর দুই পায়ে এবং ডান হাতে ছররা গুলি লেগেছে। আশরাফের মা লাভলী আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে কোনো রাজনীতি করেন না। মাতুয়াইল এলাকায় একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করেন। সকালে কাজের উদ্দেশে বের হয়ে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হন।
মাতুয়াইলে সংঘর্ষে আহত আরও একজন এসেছেন ঢাকা মেডিকেলে। তাঁর নাম মো: আরিফ (২৫)। তাঁর মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে। তিনি নিজেকে পথচারী বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, তাঁর বাসা মাতুইয়াল। সংঘর্ষের সময় তিনি ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ইট তাঁর মাথায় পড়ে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
সংঘর্ষের সময় সেখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আহত হন। পরে পুলিশ তাঁকে ভ্যানে করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।