মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুই চাচাতো বোন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ঘিওর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামীদের আটক করেছে ঘিওর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঘিওর থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. হৃদয় খান (২২), মো. সোহেল রানা (২৫), মো. শাহ আলম (২৫), রনি মিয়া (২০), হাসান আলী, ফয়সাল বেপারী (২০), তামিম (২৬), ছাকিদ হোসেন (৩০)। তারা সবাই ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার খলসী গ্রামের ৩৫ ও ২৬ বছর বয়সী দুই চাচাতো বোন একটি অটোরিকশা যোগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঘিওর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে বরংগাইল-দৌলতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের তেরশ্রী মোড় নামক স্থানে পৌঁছালে অটো চালক তাদের নামিয়ে দেয়। তারা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পাঁয়ে হেঁটে কিছু দূর যাওয়ার পর রাস্তা থেকে কয়েকজন যুবক ভুক্তভোগী এক নারীর মোবাইল নাম্বার চায়। নাম্বার না দেওয়ায় জোরপূর্বক তাদের ফোন, স্বর্ণের চেইন ও টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর ওই দুই নারীকে জোরপূর্বক রাস্তার পার্শ্বে একটি ভুট্টা ক্ষেতে ৮ জন দল বেঁধে ধর্ষণ করে।
ঘিওর থানার ওসি মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে। ঘিওরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে এবং ভুক্তভোগী দুই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।