দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের নৌকার মাঝি মামুনুর রশীদ কিরনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন আপিল শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে।
আজ (সোমবার) দুপুরে ইসির শুনানিতে অংশ নেন মামুনুর রশীদ কিরন। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে মামুনুর রশীদ কিরন মোবাইল ফোনে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আপিলে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। জনগণ আমার পাশে রয়েছে। জনগণ উন্নয়নের জন্য ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে।
মামুনুর রশীদ কিরনের ছেলে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিহান আল রশিদ বলেন, নির্বাচন কমিশনে আপিল মঞ্জুর হওয়ায় আমার বাবা প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় আমরা সবাই আনন্দিত। আপামর জনসাধারণ নৌকায় ভোট দিয়ে ৭ জানুয়ারি ভালোবাসার প্রতিদান দেবেন।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর দুপুরে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঋণখেলাপির দায়ে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে নিয়মানুযায়ী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৩ আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরনসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। অন্যরা হলেন- জাসদের জয়নাল আবদীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ও মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণখেলাপি হওয়ায় মামুনুর রশীদ কিরনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এ আসনে বৈধ প্রার্থী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সাল, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ, সাম্যবাদী দলের মহিউদ্দিন, জাকের পার্টির মো. বাহার উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ, ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া।