• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন

অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকলের ছড়াছড়ি

Avatar
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ সংবাদটির পাঠক ২ জন

নোয়াখালীতে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠেছে নামে-বেনামে সহ¯্রাধিক অবৈধ করাতকল। বাজার-বাড়িঘর-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোলঘেষে গড়ে ওঠা এসব করাতকল চলছে বছরের পর বছর, সাবাড় হচ্ছে গাছপালা। বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজষে এসব অবৈধ করাতকল গড়ে ওঠার অভিযোগ ওঠেছে।

বন আইনে করাতকল স্থাপনের আগে নিতে হবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, এই ছাড়পত্র ছাড়া করাতকল স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু জেলায় করাতকল স্থাপনে সরকারের দেওয়া এসব আইনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

বনবিভাগের তথ্যমতে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত জেলায় ৪ শতাধিক করাতকলের মধ্যে ১৮৮টির লাইন্সেস রয়েছে। যদিও বাস্তবে জেলায় করাতকলের সংখ্যা হাজারেরও বেশি বলে ধারণা স্থানীয়দের। সদর উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্যমতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ৮৮টি করাতকলের হিসাব থাকলেও এর সংখ্যা শতাধিক। উপজেলার ৮৮টি করাতকলের মধ্যে ৪২টির লাইন্সেস রয়েছে। এই ৪২টি করাতকলের মধ্যে বেশ কয়েকটির লাইন্সেসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বাকি ৪৬টির কয়েকটির লাইন্সেস প্রক্রিয়াধীন থাকলেও ৩৮টি করাতকল সম্পন্ন অবৈধভাবে চলছে। বছরের পর বছর অনুমোদন ছাড়াই চালাচ্ছেন এসব করাতকল। যত্রতত্র করাতকলে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন অনুযায়ী কোনো করাতকল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। লাইসেন্স নেওয়ার পর প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে। করাতকল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স পাওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্যাঁচ থেকেও ছাড়পত্র নিতে হয়। এসব কাগজপত্র ছাড়া করাতকল স্থাপন করা যাবে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরধারীর অভাবে করাতকল স্থাপন করে কাঠের ব্যবসা করছেন। এতে করাতকল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি বছর মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তাদেরকে অবৈধ এ ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
করাতকলের ছাড়পত্রের তথ্য জানতে পরিবেশ অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপপরিচালকের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি এব্যাপারে পরে কথা বলবেন বলে সংযোগ বিচিন্ন করে দেন।

সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মো. কামরুজ্জামানের কাছে সদর উপজেলার করাতকলের তথ্য জানতে চাইলে তিনি এব্যাপারে কোন তথ্যই দিতে পারেননি। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই, জেলা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
নোয়াখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মঈনুদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। আমার জানামতে বেশিরভাগ করাতকলের অনুমোদনের জন্য আবেদন রয়েছে। যেগুলো আবেদন করেনি, সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখিনূর জাহান নীলা বলেন, এটা সম্পুর্ন বন বিভাগের কাজ। তবে উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে আমরা বৈধ-অবৈধ করাতকলের তালিকা প্রস্তুত করেছি। তালিকা অনুযায়ী খুব শীঘ্রই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  

নামাজের সময় সূচি

    Dhaka, Bangladesh
    শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ২:৫০ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৫:১১ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৬:৩০ অপরাহ্ণ
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!