নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
গ্রেপ্তার মারজাহান আক্তার সুমি (৩২) উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আমির হোসেনের মেয়ে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান। এর আগে, একই দিন সকালের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার সদর উপজেলার আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার ভিকটিম এম এ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলের ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। ভিকটিমের বাবা বিদেশে থাকায় তার মা (আসামি) অন্য পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যার কারনে ভিকটিমের বাবা আসামি মারজাহান আক্তার সুমিকে তালাক দেয়। স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার্থে ভিকটিম তার মায়ের সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম তার দাদার বাসায় গেলে তার মা (আসামি) এর চারিত্রিক দোষের কথা বলত। এ কারণে ভিকটিমকে প্রায়ই তার মা মারধর ও নির্যাতন করত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভিকটিমের ইচ্ছা ছিল সে এসএসসি পাশের পর চৌমুহনী কলেজে ভর্তি হয়ে স্থায়ীভাবে তার দাদার বাসায় থাকবে। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ভিকটিমের মা তার দাদার কাছে ফোন দিয়ে জানায় ভিকটিমকে হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হলে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের দাদা মো. খোরশেদ আলম আসামিদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখা নোয়াখালী বরাবর হস্তান্তর করা হয়েছে।