আগামীকাল রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে সিটি কলেজে ভোট দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সজীব ওয়াজেদ জয়ও আগামীকাল সকালে মায়ের সঙ্গে সিটি কলেজে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন।
এদিকে, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসন। এখানে অষ্টমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী এম নিজাম উদ্দিন লস্কর, গণফ্রন্টের সৈয়দা লিমা হাসান, জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শহিদুল ইসলাম মিন্টু ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এলাকায় শিক্ষার হার বেড়েছে। নতুন-নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার মানুষ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এলাকার কৃষি নির্ভর অর্থনীতি গতিশীল হয়েছে। সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এই আসনের ভোটারদের আস্থা অবিচল। আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো খুবই শক্তিশালী। এখানে সংগঠনটি তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। আসনটি আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রায় সব মানুষই আওয়ামী লীগের সমর্থক। এ আসনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি, বাসদ, সিপিবি বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। এ আসনে বিগত ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।