নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের বেদেপল্লীতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মাদকের কারবার। প্রশাসেনর অভিযানে কিছুদিন নিরব থাকলেও পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠে মাদক কারবারিরা।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পূর্ব এওয়াজবালিয়া গ্রামের বেদেপল্লীর শাহজাহান সর্দার বাড়ি থেকে ৩ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ও ৭০০ গ্রাম গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এওয়াজবালিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত খবির উদ্দিন খানের ছেলে মো. জাকির হোসেন খান (৫৫) ও একই ওয়ার্ডের মো.জাকির হোসেনের ছেলে মো.বাদশা খান (৩৪)।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস শুরু করে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন। এই এলাকায় তাদের বসববাসের পর থেকে বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন স্থানীয় মাদক কারবারিদের সঙ্গে আতাত করে পল্লীর ভিতরে এবং বাহিরের এলাকায় মাদকের কারবার চালু করে। দিনের বেলায় বেদেরা বিভিন্ন এলাকায় ফেরী করে মাদক আনা-নেয়া করে। রাতে বাহিরের লোকজন মোটারসাইকেল যোগে পল্লীর ভিতরে ঢুকে মাদক বেঁচাকেনায় যুক্ত হয়। বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন বেদে পল্লী ও তার আশপাশে অভিযান চালিয়ে মাদক ও মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করা হলেও কিছুদিনের নিরবতার পর পুনরায় শুরু হয় মাদকের কারবার। গ্রেপ্তারকৃত জাকির হোসেন খান ও মো.বাদশা খান এলাকার চিহিৃত মাদক কারবারিদের মধ্যে অন্যতম।
মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এওয়াজবালিয়ার বেদেপল্লীর শাহজাহান সর্দার বাড়িতে অভিযান চালায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অভিযানে ৩ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ও ৭০০ গ্রাম গাঁজাসহ জাকির হোসেন খান ও মো.বাদশা খানকে গ্রেপ্তার করা।
এওজবালিয়ার বেদেপল্লী সংলগ্ন মান্নান নগর এলাকা, কালা হুজুরের মোড়, মান্নান হাইস্কুল, সাহেবের হাট’সহ আশপাশের এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবি জানান স্থানীয়রা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হবে। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে। জেলায় মাদকের বিস্তাররোধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।