মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে তথ্য চেয়ে সম্প্রতি সব আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মাউশির চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যানবেইসের আইইআইএমএস শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগ এবং এর আওতাধীন সব সংস্থা, অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সমন্বিত শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস)’ ব্যবস্থার আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর ডেটাবেইস প্রস্তুত এবং ইউনিক আইডি প্রদান কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ছকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মৌলিক তথ্য ও শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের পর ডেটা এন্ট্রির কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তাই আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য দিয়ে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে বলেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ (সিআরভিএস) বাস্তবায়নের আলোকে দেশের তিন কোটির বেশি শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি (একক পরিচয়) দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় সরকার। ৫ বছর বয়সী প্রাক্-প্রাথমিক থেকে ১৭ বছর বয়সের দ্বাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থী পাবে এই ইউনিক আইডি। এই আইডিতে ১০ বা ১৬ ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর থাকবে। যেসব তথ্য ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রে সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে আলাদা করে তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না।