করোনা আক্রান্ত হয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামীকাল (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন মিচেল মার্শ। দলকে নেতৃত্বও দেবেন এই অলরাউন্ডার। এমনটাই নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হন মিচেল মার্শ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারই নেতৃত্ব দেয়ার কথা। তবে তিনি খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। অবশেষে তাকে খেলার অনুমতি দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে মাঠের মধ্যে কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী খেলবেন মার্শ। তার জন্য আলাদা ড্রেসিংরুমের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া মাঠে থাকাকালীন তার সতীর্থ খেলোয়াড় ও দলের সহকর্মীদের তার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
তবে এ ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে নতুন নয়। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্টের আগে কোভিড পজেটিভ হয়েছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। তারপরেও তাকে খেলার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার জশ ইংলিশ ও কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
কোভিডের পরেও মার্শকে অধিনায়ক রাখায় অজি বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে আভাস মিলছে, সে-ই আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্ব সামলাতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া আগামী ২১ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, ম্যাথু ওয়েডসহ সবাই দলে থাকলেও নেতৃত্বে আছেন মার্শই।
উল্লেখ্য, আগামী জুনে ক্যারিবীয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপের আসর।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল গঠন করার আগে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স পরখ করে নিতে চাইছে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজের ছয়টি ম্যাচের দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখছেন তারা। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলির কথায়, ‘টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড গড়ার ক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬টি ম্যাচ এবং আইপিএলে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিবেচনা করা হবে।’