সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং করছে শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রামের জহুর আহামেদ স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। টসে হেরে টাইগারদের হয়ে বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন শরিফুল ইসলাম। টাইগার পেসারের করা প্রথম ওভারে স্কোরবোর্ডে ১ রান যোগ করতে সক্ষম হয় দুই লঙ্কান ওপেনার। এরপর দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন আরেক পেসার তাসকিন। তাসকিনের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুইটি বল দেখেশুনেই খেলেছিলেন আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তবে তৃতীয় বলেই লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তিনি। ফলে ফিরতে হয়েছে ১ রানেই।
এরপর দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই উইকেট নিলেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন পাথুম নিসাঙ্কা। অফ স্টাম্পে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলেন নিসাঙ্কা। বল তার প্যাডে আঘাত করতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ না নিয়ে ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটা ধরেন নিসাঙ্কা। রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যেত ওই বল। অর্থাৎ রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন লঙ্কান ওপেনার। ৮ বলে ১ রান করেছেন নিসাঙ্কা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান।
টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও সিরিজের ফয়সালা এসে ঠেকেছে শেষ ম্যাচে। প্রথম দুই ম্যাচে একটি করে জয় পেয়েছে দুই দলই। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সোমবার সকাল ১০টায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে সবশেষ সিরিজে ঘরের মাঠে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল তারা। এবার একটি করে জয়-পরাজয়ে সিরিজের মীমাংসা হবে শেষটিতে। ১-১ সমতায় থাকা তিন ম্যাচ সিরিজে এখন পর্যন্ত শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৬টি। আর তারা হেরেছে ৭টি। এর মধ্যে ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-১ থেকে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ১-১ থেকে সিরিজ জিতেছে তারা।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: কুসাল মেন্ডিস (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, আভিশকা ফার্নান্দো, সাদিরা সামারাউইক্রামা, চারিথ আসালাঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্রামোদ মাদুশান, লাহিরু কুমারা, মাহিশ থিকশানা।