বৃষ্টিভেজা সিলেটের মাঠে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটা দারুণভাবে কাজে লাগাল বাংলাদেশ।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছিলেন পেসার খালেদ আহমেদ। এরপর একে একে ফেরালেন প্রতিপক্ষের আরও দুই ব্যাটারকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার এই পেসারের তোপে দলীয় ৫০ রানের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সফরকারীরা আরও এক ব্যাটারকে হারিয়েছে। এবারও আক্রমণে খালেদ থাকলেও রানআউটের ফাঁদে পড়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪৮ রান।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সিলেটে টস ভাগ্য সুপ্রসন্ন। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটিতেই টস জিতেছিলেন। এবার টেস্টেও ভাগ্যের সাহায্য পেলেন।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নিশান মাদুশকাকে ফেরান খালেদ আহমেদ। তার ফুল লেংথ ডেলিভারি ড্রাইভ করার চেষ্টায় লঙ্কান ওপেনারের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। তৃতীয় স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৯ বলে ২ রান করে ফেরেন মাদুশ
নিশান মাদুশকার উইকেট দ্রুত হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চাপ সামাল দিচ্ছিলেন দিমুথ কারুনারাত্নে ও কুশাল মেন্ডিস। ৫৭ বলে ৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছিলেন তারা। তাদের ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই আবারও আঘাত হানেন খালেদ।
১২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দারুণ এক বাউন্সার বুঝে উঠতেই পারলেন না কুশাল মেন্ডিস। গালি অঞ্চলে ক্যাচ লুফে নেন জাকির। ফেরার আগে ২ চারে ২৬ বলে ১৬ রান করেন মেন্ডিস। একই ওভারে দিমুথ করুনারত্নেকেও সাজঘরে পাঠালেন টাইগার এই পেসার। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না লঙ্কান এই ওপেনার। ব্যাটের ফাঁক গলে বল গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। সিলেটে সকালটা রাঙালেন খালেদ। তার ত্রিফলায় শুরুতেই ধুঁকছে সফরকারীরা।
টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে, তখন চাপ আরও বাড়াল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘দৃষ্টিকটু’ রানআউট। খালেদ আহমেদের করা বল কাভারের দিকে ঠেলে সিঙ্গেলসের জন্য দৌড় দিয়েছিলেন দিনেশ চান্দিমাল। অন্যপ্রান্তে ম্যাথিউস ধীরলয়ে যতক্ষণে এসে পৌঁছালেন, তার আগেই মিডঅফ থেকে দৌড়ে এসে সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ বলে ৫ রান করেই বিদায়ঘণ্টা বাজল ম্যাথিউসের।