এবারের আইপিএলটা বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের জন্য একেবারেই স্পেশাল। অন্য সব আসরে তাকে বসিয়ে রাখা হতো সাইড লাইনে। মূল একাদশ থেকে কেউ চোট পেয়ে বের হয়ে গেলে স্থান হতো তার। কিন্তু এবার শ্রীলঙ্কার মাথিশা পাতিরানা চোট পাওয়ার পর চেন্নাই সুপার কিংসের পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন মুস্তাফিজুর।
টুর্নামেন্টের ও দলের প্রথম ম্যাচটি গড়ায় শুক্রবার রাতে। আর সেই ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন বাংলাদেশি এই গতি তরকা। মুস্তাফিজের বোলিং তোপে শক্তিশালী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে অনায়াসে হারিয়ে আইপিএলের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করেছে চেন্নাই। নিজের প্রথম ওভারেই মাত্র ৪ রান দিয়ে নেন মুস্তাফিস তুলে নেন প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট। তারপরের ওভারে বল করতে এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে তুলে আরো ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
মূলত, মুস্তাফিজের কারণেই কোহলির দলকে হারিয়ে সহজ জয় পায় চেন্নাই সুপার কিংস। তার এই অন্যন্য অবদানের জন্য প্রথম ম্যাচের ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরষ্কারসহ দুটি পুষ্কার পান মুস্তাফিজ। উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইয়ের মাঠে টস জিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। উদ্বোধনী জুটিতে কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই তারকা ব্যাটার। ইনিংসের শুরুতে বেঙ্গালুরু যখন উড়ন্ত শুরু করেছিল, তখন একটি ব্রেকথ্রুর অপেক্ষায় ছিল চেন্নাই।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসেই হলুদ শিবিরে প্রথম সেই আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন ফিজ। প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রানে তিনি জোড়া আঘাত করেন। আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকা ফাফ ডু প্লেসিকে (২৩ বলে ৩৫ রান) দিয়ে শুরু, এরপর ওই ওভারের শেষ ডেলিভারিতে ফেরান রজত পাতিদারকে। নিজের প্রথম ১০ বলের মধ্যেই তিনি বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডুপ্লেসি, রজত পটীদার এবং ক্যামেরুন গ্রিনকে আউট করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইনিংসে ধস নামিয়ে দেন।
প্রতিপক্ষের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের চার জনই মুস্তাফিজের শিকার। তার দাপুটে বোলিং কার্যত ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় কোহলিদের। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএলে বল হাতে সেরা পারফরম্যান্স করে বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের নজর কাড়লেন মুস্তাফিজুর।