বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগের চেয়ে সুস্থ বোধ করছেন। তিনি আপাতত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া আজ দুপুরের পর থেকে একটু অসুস্থতা বোধ করছিলেন। ইফতারের পর মেডিকেল বোর্ড বেশ কয়েকবার তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে। সার্বিক দিক বিবেচনায় তারা মনে করছেন, তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। সেজন্য আপাতত তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাসাতেই সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে তাকে যেকোনো সময় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে। এখন দুপুর, সন্ধ্যার চেয়ে অনেকটাই তিনি সুস্থ বোধ করছেন।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা সায়রুল কবির খান বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
তার চিকিৎসায় গত ২৫ অক্টোবর মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল ঢাকায় আসে। তারা লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার ট্রান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন।
কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫ মাসের বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফেরেন তিনি।