আগামী জুন মাস থেকেই দামামা বাজছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের সর্বোচ্চ এই আসরের এবারের আয়োজক দেশ আমেরিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ দলও। তার আগে আগামী মে মাসে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজও খেলবে লাল-সবুজের দল। এ জন্য ৩০ জন ক্রিকেটারের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভিসা কার্যক্রম সারতে আমেরিকান দূতাবাসে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আর সেখানে ফিঙ্গার প্রিন্টের কাজ সম্পন্ন করার কথা জানা গেছে। যে কারণে গতকাল সকালেই মিরপুরে একত্রিত হন শান্ত-লিটনরা। এরপর মিরপুর থেকে টিম বাসে রওনা হন বারিধারার আমেরিকান অ্যাম্বাসির উদ্দেশ্যে। মূলত বিশ্বকাপকে সামনে রেখে যেসব ক্রিকেটাররা ভাবনায় রয়েছেন তাদের বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করে রাখছে বিসিবি।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘ভিসা আমরা অলমোস্ট ৩০ জনের করিয়েছি। ২৭ থেকে ৩০ জনের করে রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে ফাইনাল ১৫ জন (বিশ্বকাপ স্কোয়াড) কারা হবে সেটা হয়তো পরে জানা যাবে।’ আমেরিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে আগামী ২১ মে। বাকি দুই ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ মে। ১ জুন কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্ববকাপ। ২৯ জুন ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে টি-টোয়েন্টির জমজমাট এই আসর। বাংলাদেশ দল কবে ঘোষিত হবে সে বিষয়েও একটি ধারণা দিয়েছেন জালাল।
তিনি বলেছেন, ‘সময় আছে। দল ঘোষণা করতে আমরা এখন সময় নেব। সিরিজগুলো শেষ হোক, খেলাগুলো শেষ হোক। এর মধ্যে আমরা জানতে পারব। আমরা নির্বাচক ও কোচের সঙ্গে আলাপ করে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করব। ১৬ মে দল যাবে। টিম যাওয়ার আগে আমরা ডেফিনিটলি দল ঘোষণা করব।’
এদিকে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের ভরাডুবি ঘটেছে। জালাল ইউনুস জানিয়েছেন তারা এমন ব্যর্থতার কারণ খুঁজবেন। নির্বাচক প্যানেলসহ নাজমুল হোসেন শান্তদের ডেকে ঈদের পর ব্যর্থতার রিভিউ করবে বোর্ড। তিনি বলেন, ‘ঈদের পর নির্বাচক, কিছু প্লেয়ার, ক্রিকেট অপারেশন্স আমরা সবাই বসব। আমরা রিভিউ করব।’
জালাল ইউনুস আরো যোগ করেছেন, ‘আমাদের যে রিসোর্স আছে তাদের নিয়েই তো খেলতে হবে। আপনি এর বাইরে কীভাবে যাবেন। আমাদের প্লেয়ার তারাই খেলছে এখানে। হ্যাঁ, জাতীয় দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে বাকিদের একটা তফাত থাকে। আমরা কিন্তু চেষ্টা করি মানসম্পন্ন প্লেয়ার খেলানোর। আমরা নজর দিচ্ছি সেদিকে।’
দলের খেলার ধরনই মানতে পারছেন না জালাল, ‘আসলে ম্যাচ তো হারতেই পারে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নাই। যেটা সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যদি ওরা ৫০০ রান করতে পারে তাহলে আমরা ৪৫০ করতে পারলাম না কেন? ৪০০+ করতে পারলাম না কেন? এখানে বড় একটা আক্ষেপ আছে।’