হায়দরাবাদের উইকেটে বোলারদের জন্য বরাবরই বাড়তি সুবিধা দেয়। গতকাল (৫ মার্চ) ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের মাঝারি মানের পুঁজি আশা জিইয়ে রেখেছিল ভক্তদের মনে। তবে স্বাগতিকদের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড ১৬ বলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৪৬ রান। পাওয়ারপ্লেতে হায়দরাবাদ রান তোলে ৭৮। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি চেন্নাইয়। ফলাফল হায়দরাবাদের ৬ ইউকেটে জয়।
ব্যাট হাতে হায়দরাবাদের এমন দুর্দান্ত শুরুর কৃতিত্বটা অভিষেকের। এই ওপেনার ১২ বলে খেলেছেন ৩৭ রানের ইনিংস। ১২ বলের মধ্যে ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার মারেন অভিষেক। পরে ২৪ বলে ৩১ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার হেড।
৩ নম্বরে নেমে ফিফটি করেন এইডেন মার্করাম। এরপরেও স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চেন্নাই হায়দরাবাদের রানের চাকা আটকে ধরেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা জিততে পারেনি। তাদের পেস বিভাগ ছিল খানিকটা দুর্বল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় আসায় এই ম্যাচে খেলতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান। চোটের কারণে ছিলেন না মাতিশা পাতিরানাও। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ ম্যাচ জেতে ১১ বল হাতে রেখে।
এর আগে টস জিতে এদিন চেন্নাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠান হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। চতুর্থ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার তুলে নেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রের উইকেট। তিনি ৯ বলে ১২ রান করেন। ২৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় চেন্নাই। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও। তিনি ২১ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান। দুই ওপেনারকে হারানোর পর একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। অপরদিকে এসময় বড় শট খেলতে শুরু করেন শিভাম দুবে।
৪ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামে তরুণ এই ব্যাটার এখন চলতি আসরে চেন্নাইয়ের আস্থার নাম। যা তিনি আজও প্রমাণ দিয়েছেন। সেই ঝড় অবশ্য আরও বড় হয়ে ওঠার আগে থামিয়েছেন কামিন্স। তার মন্থর বাউন্সার বুঝে উঠতে পারেননি দুবে। অর্ধশতক থেকে ৫ রান দূরে থাকতেই ক্যাচ তুলে দেন ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে। ২৪ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিনি ৪৫ রান করেন। অনেকক্ষণ ক্রিজে থাকলেও নিষ্প্রভ ছিলেন রাহানে। ৩০ বলে তিনি ফেরেন ৩৫ রানে।
শেষদিকে জাদেজার ব্যাটে কিছুটা আশা পায় চেন্নাই। তবে তাকে ভালো সঙ্গ দিতে পারেননি ড্যারিল মিচেল। জাদেজা ৩১ (২৩ বল) এবং মিচেল করেন ১৩ রান (১১ বল) করেন। ফলে নির্ধারিত ওভারে মাঝারি পুঁজি ১৬৫ তে থামে চেন্নাই। হায়দরাবাদের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর, টি নাতারাজন, কামিন্স, শাহবাজ আহমেদ ও জয়দেব উনাদকাট।