পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সংলাপের আমন্ত্রণ গ্রহণ করা এবং তার আহ্বানে সারা দেয়া। আমেরিকান ইউনিভার্সিটির নিউক্লিয়ার স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের পরিচালক পিটার কুজনিক সংবাদ মাধ্যমে তাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন- ‘ন্যাটো ব্যাপকভাবে যুদ্ধে জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে। ইতোমধ্যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ইউক্রেনে ফরাসি সেনা পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে রাশিয়া ব্রিটেনে হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছে। ইউক্রেনে দূর পাল্লার এটিএসিএসএস ও এফ-১৬ মোতায়েন রয়েছে পশ্চিমা জোটের। পাশাপাশি রাশিয়া পারমানবিক অস্ত্রের মহড়া চালানোর পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে। বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগুচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন বিষয়ে মীমাংসার জন্য পশ্চিমা জোটের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে একটি কৌশলগত আলোচনায় বসা। সংলাপের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করা। এমন পরিস্থিতিতে ন্যাটোর উচিত ইউক্রেনের স্থিতিশীলতার স্বার্থে পুতিনের প্রস্তাব গ্রহণ করা।
পিটার কুজনিক আরো বলেন- ‘আমাদের প্রতিপক্ষের চোখ দিয়ে বিশ্বকে কীভাবে দেখায় তা বোঝার চেষ্টা করার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। যে ক্ষমতার কথা বলা হচ্ছে তা কেনেডি প্রেসিডেন্সির শেষ বছর থেকে আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রকাশ করতে পারেননি।
পুতিন পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। মঙ্গলবার তার নতুন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শুরু হওয়ার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে দেশের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর রূপরেখা তুলে ধরেছেন। যেমন জনগণের কল্যাণ, দেশের দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বিশ্বব্যাপী সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলির সাথে অংশীদারিত্ব আরো বিকশিত করা। তার মতে, মস্কো নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতার বিষয়ে সংলাপের জন্য প্রস্তুত, তবে এটি শক্তির অবস্থান থেকে মোটেই উচিত নয় বরং অহংকার এবং ব্যতিক্রমী বোধ থেকে মুক্ত হওয়া উচিত। সংলাপের পক্ষগুলি সমান হওয়া উচিত এবং একে অপরের স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।