সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর এর প্রতিবাদে দেশটিজুড়ে প্রতিদিন রাস্তায় নামছে হাজারও মানুষ। এর মধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবায় লাগাম টানার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আনতে চাচ্ছে সেনা সরকার।
এর আগে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেয় পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হয় মিয়ানমারের বেশির ভাগ নাগরিক। অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন দমনে এর আগে মোবাইল ডাটায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল জান্তা সরকার।
অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের (এএপিপি) তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪৩ জনের।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই জান্তা সরকারের কারণে নিখোঁজ রয়েছেন শত শত রাজনীতিক, নির্বাচন কর্মকর্তা, সাংবাদিক, কর্মী ও আন্দোলনকারী।
এএপিপি বলছে, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, ট্রেড ইউনিয়নকর্মী, লেখক, ছাত্র, বেসামরিক নাগরিক, বিক্ষোভকারী, শিশুসহ অন্তত দুই হাজার ৭৫১ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে জান্তাবিরোধী তুমুল বিক্ষোভ চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের অবসান ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ সামরিক বাহিনীর হাতে আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে রয়েছে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি সাধারণ জনগণ।