এনবি নিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় পৌনে ছয় কেজি ওজনের এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের বেসরকারি হলিল্যাব হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই শিশুর জন্ম হয়। গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার ওই অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচার করেন। মা ও শিশু সুস্থ আছেন।
ওই প্রসূতির নাম তাসলিমা বেগমকে (৩৮)। তিনি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের আবুল বাশারের স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ওই প্রসূতি হলিল্যাব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন।
প্রসবজনিত ব্যথা বাড়তে থাকলে হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাসলিমার অস্ত্রোপচার করেন। তাসলিমার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে ছেলেশিশু। জন্মের পর শিশুটির ওজন মাপা হয়। সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুটির ওজন দেখায় ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম। শিশুর ওজন দেখে ডাক্তার-নার্সরাও অবাক হন।
তাসলিমা এর আগে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়া তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
ওই শিশুর বাবা আবুল বাশার বলেন, আমি চেয়েছিলাম আমার একটি সুস্থ সন্তান হোক। নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় আমি খুশি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার জানান, কোনো নারী ৩৭ সপ্তাহের গর্ভবতী হলে সাধারণত আড়াই কেজি ওজনের শিশু জন্ম দিয়ে থাকেন। আর ৪০ সপ্তাহের গর্ভবতী হলে তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের শিশু জন্ম দেন। সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার স্বামী সুঠাম দেহের অধিকারী হলে কিংবা শিশুর মা–বাবার ডায়াবেটিস থাকলে বেশি ওজনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। কিন্তু এই শিশুর বেলায় ঘটনাটি পুরোপুরি ব্যতিক্রম।
কারণ, তার মা ও বাবার শরীরের ওজন স্বাভাবিক এবং কারোরই ডায়াবেটিস নেই। তাসলিমা যে শিশুর জন্ম দিয়েছেন, সেটিকে আমরা সেক্রোসেমিয়া বা বেশি ওজনের শিশু বলে থাকি। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।
ফৌজিয়া আক্তার আরও বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় ওই নারী সুষম খাবার খেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আরও তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।