এনবি নিউজ ডেস্ক : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের টিকা শিশুদের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। বয়স্কদের এই টিকা দেওয়ার পর সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে শিশুদের ওপর টিকার পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ কথা জানিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ওপর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী শিশু ট্রায়ালে অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে।
এই টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গবেষণা চালাচ্ছে যুক্তরাজ্যের মেডিসিন্স অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ)। এদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের ওপর ট্রায়াল স্থগিত রাখতে চাইছে টিকা উৎপাদনকারী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ।
তবে, টিকাটি নিয়ে নিরাপত্তাজনিত কোনো ইস্যু নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীরা আরও তথ্য হাতে নিয়ে রাখতে চাইছেন।
অন্যদিকে, ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সির (ইএমএ) নিরাপত্তা কমিটি জানিয়েছে, তারা এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি এবং পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর আগে ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনসহ ১৩টি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ স্থগিত করেছিল। ইএমএর আশ্বাসে তারা আবার টিকাটির প্রয়োগ শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএ বলছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ঝুঁকির চেয়ে এর থেকে পাওয়া উপকারের পাল্লা অনেক ভারী। এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘যাদের তারিখ দেওয়া হচ্ছে, তাদের উচিত সেই অনুযায়ী টিকা নেওয়া।’
দেশটিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি দুটি টিকা প্রয়োগ চলছে। তৃতীয় হিসেবে মডার্নার টিকারও অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত তিন কোটি ১৬ লাখ মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। আর ৫৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিতে পেরেছেন।
ছয় কোটি ৬৬ লাখ মানুষের দেশ যুক্তরাজ্যের হাতে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকার মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর মধ্যে ১০ কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি। এই বিশাল মজুদে যুক্ত হতে যাচ্ছে মডার্নার টিকা।